১৯৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহ

পঞ্চম শ্রেণি (ইবতেদায়ী) - বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় - ব্রিটিশ শাসন | | NCTB BOOK

আঠারো শতকের শেষভাগ থেকে উনিশ শতক জুড়ে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে অনেকবার বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। এমনই একটি আন্দোলনে বিদ্রোহী নেতা তিতুমির ইংরেজ বাহিনীকে প্রতিহত করার জন্য বারাসাতের কাছে নারকেলবাড়িয়া গ্রামে একটি বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করেন। ১৮৩১ সালে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে এক যুদ্ধে তিতুমির পরাজিত ও নিহত হন।

তিতুমিরের বাঁশের কেল্লা

১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের পুরুত্ব অপরিসীম। পশ্চিম বাংলার : ব্যারাকপুরে মঙ্গল পাণ্ডের নেতৃত্বে এ বিদ্রোহ শুরু হয়ে সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে।

মঙ্গল পাণ্ডে

 

সিপাহি বিদ্রোহের কিছু কারণ :

* সেনাবাহিনীতে সিপাহি পদে ভারতীয়দের সংখ্যাধিক্য ছিল। সেখানে পঞ্চাশ হাজার ব্রিটিশ এবং তিন লক্ষ ভারতীয় সিপাহি ছিল।

* ভারতের বিভিন্ন এলাকার সৈন্যদের মধ্যে সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।

* ১৮৫৬ সালের পর ভারতের বাইরেও সৈন্যদের কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

* কামান ও বন্দুকের কার্তুজ পিচ্ছিল করার জন্য পর এবং শুকরের চর্বি ব্যবহারের গুজব নিয়ে ধর্মীয় অশান্তি তৈরি করা হয়।

* সৈন্যদের আন্দোলনকে সমর্থন জানানোর জন্য সাধারণ মানুষ প্রস্তুত ছিলেন। এই আন্দোলন দ্রুতই সৈন্যদের থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ব্রিটিশ সরকার কঠোর হাতে এ বিদ্রোহ দমন করে। এ বিদ্রোহে প্রায় এক লক্ষ ভারতীয় মারা যায়।

পরবর্তীতে ভারতের শাসনভার ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে মহারানি ভিক্টোরিয়ার হাতে চলে যায়। তিনি স্বাধীনভাবে ভারত শাসন করতে থাকেন।

 

ক. এসো বলি

শিক্ষকের সহায়তায় ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের কারণগুলো আলোচনা কর। প্রতিটি কারণ কেন গুরুত্বপূর্ণ ছিল?

 

খ. এসো শিখি

সিপাহি বিদ্রোহের কারণগুলো গুরুত্ব অনুসারে সাচ্ছিরে লেখ :

১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের কারণ
১.
২.
৩.
৪.
৫.

 

গ. আরও কিছু করি

ঢাকার বাহাদুর শাহ্ পার্কে ১৮৫৭ সালে বিদ্রোহী বাঙালি সিপাহিদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। এখানে একটি স্মৃতিসৌধ আছে। এই পার্ক সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ কর।

বাহাদুর শাহ্ কে ছিলেন? উনিশ শতকে এই পার্কের নাম 'ভিক্টোরিয়া পার্ক' রাখা হয় কেন?

১৯৫৭ সালে নির্মিত সিপাহি বিদ্রেোহের স্মৃতিসৌধ, বাহাদুর শাহ্ পার্ক, ঢাকা

ঘ. যাচাই করি

অল্প কথার উত্তর দাও :

১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের ফলাফল কী ছিল?

Content added || updated By
Promotion